ইতিহাস
হযরত শাহ মোস্তফা (রহঃ) সহ অগনিত আউলিয়াদের পুণ্যভূমি মৌলভীবাজার জেলার মাতারকাপন – এ চার একর জমির ওপর মৌলভীবাজার পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট অবস্থিত। চারদিকে সবুজ প্রাকৃতিক পরিবেশের মাঝে প্রতিষ্ঠানটি মাথা উঁচু করে তার অবস্থান জানান দিচ্ছে । কারিগরি শিক্ষায় পিছিয়ে পরা জনপদ হিসেবে এ শিক্ষা প্রসারের লক্ষে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রনালয়ের মাননীয় মন্ত্রী মরহুম জনাব এম. সাইফুর রহমান, এম.পি, ৬ ফাল্গুন ১৪১২, মোতাবেক ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০০৬ সালে মৌলভীবাজার পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। ১৩ অক্টোবর ২০১০ সালে কর্মস্থল পরিবর্তনে ১ জন শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব প্রদানের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটির আনুষ্ঠানিক প্রশাসনিক কার্যক্রম আরম্ভ হয় এবং পরবর্তীতে কম্পিউটার এবং ইলেকট্রনিক্স টেকনোলজিতে ১ জন করে শিক্ষককে একই প্রক্রিয়ায় পদায়ন করা হয়। শিক্ষাকার্যক্রম ও শিক্ষার্থী পরিসংখ্যানঃ ২৩-১০-২০১০ সাল থেকে ২০১০-২০১১ শিক্ষা সনে কম্পিউটার এবং ইলেকট্রনিক্স টেকনোলজিতে যথাক্রমে ১ম শিফট ও ২য় শিফটে (৯১+৯৫) জন মোট ১৮৬ জন শিক্ষার্থী ভর্তির মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রমের যাত্রা আরম্ভ হয়। হোস্টেল সুবিধাঃ শুধুমাত্র ৯৬ জন ছাত্র ধারণক্ষম ৪ তলা বিশিষ্ট একটিমাত্র বিল্ডিং আছে । জুলাই ২০১২ থেকে ৯৬ জন ছাত্রকে সীট বরাদ্দের মাধ্যমে হোস্টেল কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
অবস্থান
এটি মৌলভীবাজার শহর থেকে শমসের নগর রোডের, মাথারকাপন এলাকায় অবস্থিত।
ক্যাম্পাস
মূল ক্যাম্পাসে পাঁচতলা বিশিষ্ট তিনটি ভবন, এদের দুইটি প্রাতিষ্ঠানিক ভবন ও একটি প্রশাসনিক ভবন। এছাড়া ওয়ার্কশপ কক্ষ, অফিস, লাইব্রেরী, ল্যবরেটরী, একটি ৫০০ ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন অডিটোরিয়াম,হার্ডওয়্যার ল্যাব, সফটওয়্যার ল্যাব এবং ফ্রী ওয়াই-ফাই সহ একটি মাল্টিমিডিয়া নেটওয়ার্কিং ল্যাব । এছাড়া প্রতিষ্টানের মূল গেইট সংলগ্ন একটি শহীদ মিনার।
টেকনোলজি
বর্তমানে এখানে চারটি বিভাগ চালু আছে। যথা:
- কম্পিউটার।
- ইলেকট্রনিক্স।
- ফুড।
- রেফ্রিজেটর এন্ড এয়ার কন্ডিশনিং।
ছাত্রাবাস
মৌলভীবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ৯৬ টি সিট বিশিষ্ট্য শুধু ছাত্রদের জন্য একটি ছাত্রাবাস চালু আছে।
তথ্যসূত্র
১। *মৌলভীবাজার পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের অফিসিয়াল পেইজ ২। *মৌলভীবাজার পলিটেকনিক হোষ্টেলের অফিসিয়াল পেইজ
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন