শনিবার, ৭ মার্চ, ২০১৫

ঢাকা মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট

নারীদের কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত করার লক্ষে ১৯৮৫ সালে মাত্র দুটি বিভাগ নিয়ে যাত্রা শুরু করে ঢাকা মহিলা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট পিছিয়ে পরা নারী সমাজকে ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষায় শিক্ষিতকরণ জাতীয় উন্নয়নে অংশগ্রহণ করার জন্য প্রতিষ্ঠান্টি শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে বর্তমানে ইন্সটিটিউটটিতে ৫টি বিভাগ চালু আছে

ঢাকা মহিলা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটটি ঢাকা শহরের প্রণকেন্দ্র আগারগায়ের শিক্ষা পল্লীতে অবস্থিত ইন্সটিটিউটটের প্রাকিতিক পরিবেশ অত্যন্ত মনোরম
ছাত্রিদের থাকার জন্য আবাসিক ব্যবস্থা আছে এছারাও প্রতিষ্ঠানটি আগারগায়ের মত এলাকাই হওয়ায় যাতায়াতের উন্নত ব্যবস্থা আছে ঢাকার প্রায় সব স্থান থেকেয় সহজে যাতায়াত করা যায়

৫টি ডিপার্টমেন্টের মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয়
        টেকনোলজি
আসন সংখ্যা
        আর্কিটেকচার
৪০
        ইলেকট্রোমেডিক্যাল
৪০
        কম্পিউটার
৪০
        ইন্সট্রুমেন্টেশন এন্ড প্রসেস কন্ট্রোল
৪০
        ইলেকট্রনিক্স
৪০

প্রতিষ্ঠানটিতে উন্নত ল্যবরেটরি ,লাইব্রেরী ,মিলনয়তন , ইনডোর গেমের ব্যবস্থা আছে


ফোনঃ 88-02-9114013


শুক্রবার, ৬ মার্চ, ২০১৫

পাবনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট​

বাংলাদেশের একটি প্রাচীন ও বৃহত্তম পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট। বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধিনে পরিচালিত একটি সরকারি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান​। চার বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা কোর্সে সুযোগ র​য়েছে আটটি ভিন্ন ট্রেড বা পাঠ্য বিষয়ে। প্রথম বর্ষে মাত্র ৪২০ জন ছাত্র-ছাত্রী এবং চারটি টেকনোলজি (সিভিল, ইলেট্রিক্যাল, মেকানিক্যাল ও পাওয়ার) নিয়ে ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স চালু হয়। অত্র প্রতিষ্ঠানে চার বছর মেয়াদী এই কোর্সে ৮টি বিভাগ চলমান রয়েছে।

ইতিহাস

১৯২৪ সালে তাড়াশের জমিদার শ্রী বনমালী রায় কর্তৃক বর্তমানে নগরবাড়ী মহাসড়কের দক্ষিণ পার্শ্বে পাবনা শহরে BL Eliot Technical School নামে একটি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৬০ এর দশকে ততকালীন পাকিস্তান সরকারের ৫ম বার্ষিকী পরিকল্পনার অংশ হিসাবে পূর্ব পাকিস্তানের বহু জেলাতে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট স্হাপিত হয়। তারই অংশ হিসেবে পাবনা জেলাতে ১৯৬২ সালে উক্ত টেকনিক্যাল স্কুলটি ‍‍‍‍‌‌‌‌‌" পাবনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট " নামে প্রতিষ্ঠিত হয়।১৯৭০ সালের ১০ই জানুয়ারী ততকালীন পরিচালক (কারিগরি শিক্ষা ) ড. ওয়াকার আহম্মদ বিশ্ব বিদ্যালয় কলেজের উত্তর-পশ্চিম পার্শে ইছামতি নদীর উপকন্ঠে এক নিরিবিলি মনোরম পরিবেশে ৩০ একর জমির উপর বর্তমানে ক্যাম্পাসের ভীতি প্রস্তর স্হাপন করে ইহার ঐতিহাসিক অগ্রযাএা তরান্তিত করেন। নির্মাণ কাজ সমাপ্তির পর তিনটি টেকনোলজি নিয়ে ১৯৭৮ সালে নূতন ক্যাম্পাসে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়।

অবস্থান

পাবনা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট পাবনা শহর এলাকার​ গাংকোলায় অবস্থিত। এর উত্তরে ইন্সটিটিউট অব টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি, দক্ষিণে কারিগরি শিক্ষক প্রশিক্ষণ মহাবিদ্যালয় (TTTC) এবং পশ্চিমে পাবনা -চাটমোহর​ হাইওয়ে , পূর্ব দিকে পাবনা এডওয়ার্ড কলেজের ক্যাম্পাস অবস্থিত​।

ক্যাম্পাস

মূল ক্যাম্পাসে চারতলা বিশিষ্ট একটি ভবন, তিনটি বড় ওয়ার্কশপ ভবন, অফিস, লাইব্রেরী, ওয়ার্কশপ এবং ল্যবরেটরী এবং একটি ৪০০ ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন অডিটোরিয়াম। এছাড়া মূল ভবনের উত্তর পাশে রয়েছে মসজিদ সংলগ্ন শহীদ মিনার।

টেকনোলজি

একাডেমিক টেকনোলজি সমূহের মধ্যে রয়েছে
  • কম্পিউটার।
  • ইলেকট্রনিক্স।
  • ইলেকট্রিক্যাল।
  • মেকানিক্যাল।
  • সিভিল।
  • এনভায়রনমেন্ট।
  • কন্সট্রাকশন

ছাত্রাবাস

ছাত্রদের জন্য চারটি এবং ছাত্রীদের জন্য একটি আবাসিক হল রয়েছে।

কুমিল্লা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট

বাংলাদেশের একটি প্রাচীন ও বৃহত্তম পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট।

ইতিহাস

এটি ১৯৬২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।

অবস্থান

কুমিল্লা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট কুমিল্লা কোটবাড়িতে অবস্থিত। এর উত্তরে গভঃ ল্যাবরেটরি হাই স্কুলকুমিল্লা সেনানিবাস , দক্ষিণে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় , শালবন বৌদ্ধ বিহার , ময়নামতি জাদুঘরকারিগরি শিক্ষক প্রশিক্ষণ মহাবিদ্যালয় (টিটিটিসি) , পূর্বে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক এবং পশ্চিমে কুমিল্লা ক্যাডেট কলেজবার্ড অবস্থিত।

ক্যাম্পাস

মূল ক্যাম্পাসে তিনতলা বিশিষ্ট দুইটি ভবন, ছয়টি বড় ওয়ার্কশপ ভবন, অফিস, লাইব্রেরী, ওয়ার্কশপ এবং ল্যবরেটরী এবং একটি ৫০০ ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন অডিটোরিয়াম। এছাড়া একটি স্কুল, একটি মসজিদ, দুইটি পুকুর, একটি বিশাল মাঠ এবং মূল ভবনের সামনে রয়েছে শহীদ মিনার।

টেকনোলজি সমূহ

একাডেমিক টেকনোলজি সমূহের মধ্যে রয়েছে -
  1. ইলেকট্রিক্যাল টেকনোলজি
  2. কম্পিউটার টেকনোলজি
  3. ইলেকট্রনিক্স টেকনোলজি
  4. মেকানিক্যাল টেকনোলজি
  5. সিভিল টেকনোলজি
  6. পাওয়ার টেকনোলজি

ছাত্রাবাস

ছাত্রদের জন্য দুইটি এবং ছাত্রীদের জন্য একটি আবাসিক হল রয়েছে।
  • শহিদুল্লাহ আবু ইউসুফ খান ছাত্রাবাস
  • ময়নামতি ছাত্রাবাস

তথ্যসূত্র


http://www.comillapoly.gov.bd

চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট

বাংলাদেশের চট্টগ্রামে অবস্থিত দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সরকারি পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট।[২] ১৯৬২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।


অবস্থান

চট্টগ্রাম শহরের নাসিরাবাদ এলাকায় প্রায় ২০ একর জমিতে এই ইন্সটিটিউট অবস্থিত।[১][২]

বিবরণ

ইন্সটিটিউটে দুইট ছাত্রীনিবাস এবং পাঁচটি ছাত্রাবাসের ব্যবস্থা রয়েছে। মূল একাডেমিক ভবনের সাথে সংযুক্ত আলাদা ভবনে মিলনায়তন ও গ্রন্থাগার রয়েছে। গ্রন্থাগারে প্রায় হাজারের অধিক বইয়ের সংগ্রহ আছে। পাশাপাশি শিক্ষক এবং কর্মচারিদের নিবাসের ব্যস্থা আছে।[২] বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর কেন্দ্রিয়ভাবে দেশের সকল পলিটেকনিক পরিচালনা করে। একজন অধ্যক্ষের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে উপাধ্যক্ষের সহযোগিতায় যাবতীয় একাডেমিক, প্রশাসনিক ও উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়।

ইতিহাস

বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পূর্বে তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের সময়ে ১৯৬২ সালে এই ইনিস্টিটিউট প্রতিষ্ঠিত হয়।[২]

অনুষদ

বর্তমানে চার বছরের ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিরিয়ারিং কোর্স চালু আছে। প্রত্যেক প্রযুক্তির ছাত্র-ছাত্রীদের আবশ্যিকভাবে পাঠ্য বাঙলা, ইংরেজি, গণিত, পদার্থ, রসায়ন, ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি বিষয়ে পাঠদানের জন্য একটি ননটেকনিক্যাল স্টাডিজ বিভাগ রয়েছে।
  • সিভিল অনুষদ
  • কম্পিউটার অনুষদ
  • এনভায়রনমেন্টাল অনুষদ
  • ইলেট্রিক্যাল অনুষদ
  • ইলেট্রনিক্স অনুষদ
  • ম্যাকানিক্যাল অনুষদ
  • পাওয়ার অনুষদ

শিক্ষা পদ্ধতি

চার বছর মেয়াদে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং সহ আট সেমিস্টারে এই কোর্স শেষ হয়। পর্ব সমাপনী পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে প্রতি সেমিস্টারে ৬৫% ছাত্র-ছাত্রী সরকারিভাবে বৃত্তি পেয়ে থাকে। আবার প্রতি বিভাগে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং চলাকালে প্রত্যেক ছাত্রছাত্রী মাসিক ভাতা পায়।

ভর্তি

প্রতি বছর এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশের পরপর বাঙলাদেশ কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর দেশের ৪৯টি সরকারি পলিটেকনিকে এক যোগে ভর্তি কার্যক্রম শুরু করে। লিখিত পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বর ও এসএসসি পরীক্ষার প্রাপ্ত স্কোরের সমম্বয়ে এ ফল প্রণীত হয়। অন লাইনে ভর্তি ফর্ম পূরণের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের বিভিন্ন বিভাগ ও পলিটেকনিক পছন্দের সুযোগ থাকে। মেধা ও পছন্দের ভিত্তিতে বিভাগ ও ইন্সটিটিউট নির্বাচন করা হয়। প্রতি বছর প্রথম ও দ্বিতীয় শিফটে বিভিন্ন বিভাগে মোট ৯৬০জন ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করা হয়।

ঢাকা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট

 

ইতিহাস

এটি ১৯৫৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রথম বর্ষে মাত্র ১২০ জন ছাত্র-ছাত্রী এবং চারটি টেকনোলজি (সিভিল, ইলেট্রিক্যাল, মেকানিক্যাল ও পাওয়ার) নিয়ে ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স চালু হয়। অত্র প্রতিষ্ঠানে চার বছর মেয়াদী এই কোর্সে ১১টি বিভাগ চলমান রয়েছে।

অবস্থান

ঢাকা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট তেজগাঁও শিল্প এলাকায় অবস্থিত। এর উত্তরে ইন্সটিটিউট অব টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি, দক্ষিণে কারিগরি শিক্ষক প্রশিক্ষণ মহাবিদ্যালয় (TTTC) এবং পশ্চিমে ঢাকা-টংগী হাইওয়ে।

ক্যাম্পাস

মূল ক্যাম্পাসে চারতলা বিশিষ্ট একটি ভবন, তিনটি বড় ওয়ার্কশপ ভবন, অফিস, লাইব্রেরী, ওয়ার্কশপ এবং ল্যবরেটরী এবং একটি ৫০০ ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন অডিটোরিয়াম। এছাড়া মূল ভবনের উত্তর পাশে রয়েছে মসজিদ সংলগ্ন শহীদ মিনার।

টেকনোলজি

একাডেমিক টেকনোলজি সমূহের মধ্যে রয়েছে [১] কম্পিউটার। [২] ইলেকট্রনিক্স। [৩] ইলেকট্রিক্যাল। [৪] মেকানিক্যাল। [৫] সিভিল। [৬] আর্কিটেকচার। [৭] অটোমোবাইল। [৮] রিফ্রিজারেশন এন্ড এয়ারকন্ডিশনিং। [৯] ফুড। [১০] কেমিক্যাল। [১১] এনভায়রনমেন্ট।

ছাত্রাবাস

ছাত্রদের জন্য চারটি এবং ছাত্রীদের জন্য একটি আবাসিক হল রয়েছে।
  • লতিফ ছাত্রাবাস
  • কাজী মোতাহার হোসেন ছাত্রাবাস
  • জহির রাহয়ান ছাত্রাবাস